প্রকাশঃ 2024-03-10 06:28:33 | সর্বশেষ আপডেটঃ 2024-12-04 19:01:31
শেয়ার করুনঃ Facebook | Twitter | Whatsapp | Linkedin । দেখা হয়েছে 210 বার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরঃস্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের যে বাড়িতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন, স্বাধিকারের সংগ্রামে জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, সে বাড়িটি আজ তাঁর নানা স্মৃতিচিহ্ন বহন করছে। বর্তমানে এটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। ১৯৬১ সালের ১ লা অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের এই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬২ সালের আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলন, ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচন, ১৯৭১ এর শুরুতে অসহযোগ আন্দোলন, এই সবগুলো ক্ষেত্রেই শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা প্রণয়ন, দলের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়, সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্টের কথা শোনা এই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৩২ নম্বরের এই বাড়িটি। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা এই বাড়িতে ভিড় করেছেন ’৭১ এর উত্তাল দিনগুলোতে। “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” - ৭ই মার্চের বিখ্যাত সেই ভাষণের রুপরেখাটি বঙ্গবন্ধু তৈরি করেছিলেন এখানকার কনফারেন্স টেবিলে বসে। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি তখনও তিনি এই বাড়িটি থেকে রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে থাকেন। এই বাড়ি থেকে অসংখ্যবার পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। সর্বশেষে গ্রেপ্তার করেছিল ৭১ এর ২৫ শে মার্চ রাতে। আর স্বাধীনতার পর এই বাড়িতেই তাঁকে স্বপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট, যা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসাবে এখনো পরিচিত।বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙিপাড়ায় যেখানে আজ তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে বাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বাড়িটিকে জাদুঘরে রুপান্তরের জন্য বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করেন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বাড়িটিকে জাদুঘরে করে এবংনাম দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর। জাদুঘর ভবনটিতে ঢুকে এক তলাতেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। একতলায় জাদুঘরটির প্রথম কক্ষে ছবির মাধ্যমে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে বঙ্গবন্ধুর আলাপচারিতা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের আলোকচিত্র রয়েছে এখানে। এই কক্ষটি ছিল ড্রইং রুম। যেখানে বসে বঙ্গবন্ধু দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে বৈঠক করেছেন। এই কক্ষের পাশের কক্ষটি ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের পড়ার ঘর। এখানে বসে তিনি লেখালেখিও করতেন। এখান থেকেই তিনি ৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠিয়েছিলেন। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় এখনো চোখে পড়বে সেই রাতের তান্ডবলীলার নিদর্শন। এছাড়া এখানে শিল্পীর তুলিতে আঁকা বঙ্গবন্ধুর গুলিবিদ্ধ অবস্থার একটি প্রতিকৃতি রয়েছে। দোতলায় গিয়ে প্রথমেই যে কক্ষটি পাওয়া যায় সেটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বাসকক্ষ। এর পরের প্রথমে কক্ষটি ছিল তাঁর শোবার ঘর, তারপরের কক্ষটি শেখ রেহানার শোবার ঘর। এ কক্ষগুলোয় এখন প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারবর্গের নানা স্মৃতি চিহ্ন। এটি কেবল একটি পারিবারের স্মৃতি চিহ্ন নয়। এগুলো একটি জাতির ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে থাকা বিভিন্ন প্রদর্শন সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শেখ রাসেলের খেলার জিনিস। যেমন- বল, হকিষ্টিক, ব্যাট, হেলমেট, সুলতানা কামালের সঙ্গে তাঁর ছবি ইত্যাদি।ঢাকা জেলা: ঢাকা মহানগরঃ ক) ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক ও স্থাপত্য নিদর্শনঃপর্যটন আকর্ষণ।তথ্য সুত্রঃ parjatan.gov.bd
BD Travel Info Channel
BDCNEWS Channel
Raindrop Tours Channel
Raindrop Tours Channel
Raindrop eShop Channel
Soumya Bhowmik Channel